কালিজিরার অনেক নাম। যেমন কালো কেওড়া, রোমান করিয়েন্ডার বা রোমান ধনে, নিজেলা, ফিনেল ফ্লাওয়ার, হাব্বাটুসউডা, কালঞ্জি ইত্যাদি। তবে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, এই কালো বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক।কালিজিরাকে বলা হয় ‘সকল রোগের মহৌষধ’। প্রাকৃতিক ঔষধি হিসেবেও কালিজিরা বেশ জনপ্রিয়। কালিজিরাতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নানা রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। জ্বর, সর্দি, গায়ে ব্যথায় কালিজিরা যথেষ্ট উপকারি। শুধু এটুকুই নয়, গবেষণা বলছে কালিজিরার সবচেয়ে বড় গুণ ওজন কমাতে। সঠিক নিয়মে ও পরিমিত পরিমাণে কালিজিরা খেলে ওজন কমে যায়।
রান্নায় ব্যবহার করা সব মসলাপাতি বা ফোড়নের স্বাদ বৃদ্ধি করা ছাড়াও নিজস্ব কিছু ভেষজ গুণ আছে কালিজিরার। কালিজিরায় অনেক সমস্যারই সমাধান আছে। এর মধ্যে দুটি সমস্যা প্রায় সবার মাঝেই আছে তা হল – বদহজম ও গ্যাস্ট্রিক। এই দুই সমস্যার সমাধানেই কালিজিরা খুব কার্যকর। শুধু তাই নয়, কালিজিরাতে রয়েছে আরো অনেক গুনাবলী। একটি কথা আছে – “মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের জন্য কালিজিরা উপকারী”। আজকের পোস্টে কালোজিরা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
কালোজিরার স্বাস্থ্য উপকারীতাঃ
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধিঃ
এক চা-চামচ পুদিনাপাতা বা কমলা অথবা এক কাপ রঙ চায়ের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে নিয়মিত খাওয়ার ফলে দুশ্চিন্তা দূর করে। এছাড়া কালোজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। কালোজিরা খেলে আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এতে করে মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির হয়। যা আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়িয়ে তুলতে অনেক সাহায্য করে এবং মানসিক শান্তি প্রদান করে।
জেনে নিন – “মানসিক শান্তি কেন গুরুত্বপূর্ণ”
বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা নিরাময়েঃ
মাথা ব্যাথার জন্য ১/২ চা-চামচ কালোজিরার তেল মাথায় ভালোভাবে লাগাতে হবে এবং এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দিনে তিনবার করে ২/৩ সপ্তাহ সেব্য। এতে মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মাথা ব্যাথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।
বাতের ব্যাথা হলে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে কালিজিরার তেল মালিশ করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
কালোজিরার থেকে যে তেল বের করা হয় তা আমাদের দেহে বাসা বাঁধা দীর্ঘমেয়াদী রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা কমাতে বেশ সাহায্য করে। এছাড়াও সাধারণভাবে কালোজিরা খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।
দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালোজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে যায়।
সর্দি/জ্বর সারাতেঃ
এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ৩বার সেব্য এবং মাথায় ও ঘাড়ে রোগ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে হবে। এছাড়া এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর হয়। সর্দি বসে গেলে কালিজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিন। একই সঙ্গে পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে কালিজিরা বেঁধে শুকতে থাকুন, শ্লেষ্মা তরল হয়ে ঝরে পড়বে। আরো দ্রুত ফল পেতে বুকে ও পিঠে কালিজিরার তেল মালিশ করুন। সকাল-সন্ধ্যায় লেবুর রসের সাথে ১ চামচ কালোজিরা তেল পান করুন।
গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পেতেঃ
আ্যসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা দূর করতেও কালিজিরা বেশ কার্যকর। আমরা অনেকেই প্রতিনিয়ত ভাজাপোড়া খেতে ভালোবাসি। অনেকেই খাবারে অনিয়ম করেন, সকালে দেরি করে খান, দুপুরের খাবার খেতে খেতে সন্ধ্যা হয়ে আসে। অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার ভালোবাসেন কেউ কেউ। এসব কারণে গ্যাস্ট্রিক আমাদের পিছু ছাড়ে না। চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক কীভাবে কালিজিরা খেলে গ্যাস্ট্রিক থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। ১ কাপ দুধের সঙ্গে ১ চা-চামচ কালিজিরার তেল মিশিয়ে প্রতিদিন ২-৩ বার খেলে অনেক ভালো ফল মিলবে। এ ছাড়া আপনি ১ চা-চামচ কালিজিরার তেল ও ১ চা-চামচ খাঁটি মধু একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন ২-৩ বার খেতে পারেন। এভাবে দুই থেকে তিন সপ্তাহ খেলেই গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
“অনিয়মিত খ্যাদাবাস শরীরে যে সকল প্রভাব ফেলে”
ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রণেঃ
ডায়াবেটিক রোগীদের রোগ উপশমে বেশ কাজে লাগে কালিজিরা। এক চিমটি পরিমাণ কালিজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে দেখুন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যা ডায়বেটিকস নিয়ন্ত্রণে একশত ভাগ ফলপ্রসূ।
ব্লাড প্রেসারনিয়ন্ত্রনে রাখতেঃ
প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোষ চিবিয়ে খেয়ে এবং সমস্ত শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করে সূর্যেরতাপে কমপক্ষে আধাঘন্টা অবস্থান করতে হবে এবং এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণমধুসহ প্রতি সপ্তাহে ২/৩ দিন সেব্য যা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখে। এছাড়া কালোজিরা বা কালোজিরা তেল বহুমুত্র রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে ও উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে।
হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রেঃ
এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ এক কাপ দুধ খেয়ে দৈনিক ২বার করে ৪/৫ সপ্তাহ সেব্য এবং শুধু কালোজিরার তেল বুকে নিয়মিত মালিশ করতে হবে। এতে করে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
শ্বাস কষ্ট বা হাঁপানি রোগের ক্ষেত্রেঃ
যারা হাঁপানী বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা রাখুন খাদ্য তালিকায়। কালোজিরার দ্বারা হাঁপানি বা শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা উপশম হবে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হঠাৎ মুশকিলে ফেললে সব সময় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার অবস্থা থাকে না। অনেক সময় হাতের কাছে প্রয়োজনীয় ঔষধ থাকে না। কালিজিরা কাপড়ে জড়িয়ে রাখুন। এ বার নাকের কাছে নিয়ে এর গন্ধ শুঁকুন। শ্বাসকষ্টের কষ্ট থেকে সাময়িক মুক্তি দিতে পারে এই ঘরোয়া উপায়।
যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্যঃ
কালোজিরা নারী- পুরুষ উভয়ের যৌনক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন কালোজিরা খাবারে সাথে খেলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি করে। মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত আছে যে, কালিজিরা যৌন ক্ষমতা বাড়ায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। একচা-চামচ মাখন, এক চা-চামচ জাইতুন তেল সমপরিমাণ কালোজিরার তেল ও মধুসহ দৈনিক ৩বার ৪/৫ সপ্তাহ সেব্য। তবে পুরানো কালোজিরা তেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখেতে সাহায্য করেঃ
ত্বকের গঠনের উন্নতি ও ত্বকের প্রভা বৃদ্ধির জন্য কালোজিরা অত্যাবশ্যকীয়। এতে লিনোলেইক ও লিনোলেনিক নামের এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড থাকে যা পরিবেশের প্রখরতা, স্ট্রেস ইত্যাদি থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বককে সুন্দর করে ও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।
মধু ও কালোজিরার পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন, এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
আপনার যদি ব্রণের সমস্যা থাকে তাহলে আপেল সাইডার ভিনেগারের সাথে কালোজিরা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। নিয়মিত লাগালে ব্রণ দূর হবে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য কালোজিরার গুঁড়া ও কালোজিরার তেলের সাথে তিলের তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ৭ দিনের মধ্যে লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
এই পোস্টটি দেখতে পারেন – “এই শীতে ত্বকের যত্নে কিছু টিপস”
শরীর স্বাস্থ্য ভাল রাখতেঃ
মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়। হজমের সমস্যায় ১/২ চামচ কালিজিরা বেটে পানির সঙ্গে খেতে থাকুন। এভাবে প্রতিদিন দু-তিনবার খেলে এক মাসের মধ্যে হজমশক্তি বেড়ে যাবে। পাশাপাশি পেটের ফাঁপাভাবও দূর হবে।
জেনে নিন – “পুষ্টিকর খাবার তালিকা ও এর প্রয়োজনীয়তা”
কালিজিরা ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ
কালিজিরা উচ্চ আঁশসমৃদ্ধ। তাই কালিজিরা খেলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধার অনুভূতি থাকে না। ফলে বার বার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। রান্নায় কালিজিরা ব্যবহার করলে খাদ্যের পুষ্টিগুণও বাড়ে। তাই রান্নায় কালিজিরা ব্যবহার করুন। স্থূলতা রুখতে গ্রিন টির সঙ্গে মিশিয়ে নিন কালিজিরার গুঁড়া। এতে বিপাক প্রক্রিয়া ভালো হয় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে। মেটাবলিজম বাড়িয়ে শরীরের মেদ ঝরাতে বিশেষ কাজে আসে এই ঘরোয়া কৌশল।
জেনে নিন –
গ্রিন টি – সবুজ চায়ের উপকারিতা
গ্রিন টি পানের ক্ষেত্রে যে ভূলগুলো করা যাবেনা
শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে কালোজিরাঃ
দুই বছরের অধিক বয়সী শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানোর অভ্যাস করলে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও অনেক কাজ করে এই কালোজিরা। দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালোজিরার তেল সেবন করা উচিত নয়। তবে বাহ্যিক ভাবে শরীরে ব্যবহার করা যাবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেঃ
কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে। এতে করে যে কোন জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে স্বস্থ্যের উন্নতি করে। ১ চামচ কালোজিরা অথবা কয়েক ফোটা কালোজিরার তেল ও ১ চামচ মধুসহ প্রতিদিন সেবন করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
“রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির কিছু কার্যকরী উপায়“
চুলের যন্তে কালিজিরাঃ
কালিজিরা খেয়ে যান, চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবেন। ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে। আরো ফল পেতে চুলের গোড়ায় এর তেল মালিশ করতে থাকুন। কালোজিরার তেল চুলের কোষ ও ফলিকলকে চাঙ্গা করে ও শক্তিশালী করে যার ফলে নতুন চুল সৃষ্টি হয়। এছাড়াও কালোজিরার তেল চুলের গোড়া মজবুত করে ও চুল পড়া কমায়।
এই শীতে চুলের যন্ত – বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
দুগ্ধ দান কারিনী মায়েদের দুধ বৃদ্ধির জন্যঃ
যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের মহৌষধ কালিজিরা। মায়েরা প্রতি রাতে শোয়ার আগে ৫-১০ গ্রাম কালিজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খেতে থাকুন। মাত্র ১০-১৫ দিনের মধ্যে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে। এছাড়া এ সমস্যা সমাধানে কালিজিরা ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। আবার ১ চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দৈনিক ৩ বার করে নিয়মিত সেব্য। যা শতভাগ কার্যকরী।
এগুলো ছাড়াও কালিজিরার আরো অনেক উপকারীতা রয়েছে। যেমন –
বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারাতে,
অর্শ রোগ নিরাময়ে,
জয়েন্টের ব্যাথার ক্ষেত্রে,
জন্ডিস বা লিভারের বিভিন্ন সমস্যার দূরীকরণে,
লিভারের সুরক্ষায়,
শান্তিপূর্ণ ঘুমের প্রয়োজনে ইত্যাদি।
সতর্কতাঃ
‘সকল রোগের মহৌষধ’ হিসেবে কালিজিরার জুড়ি নেই। শারীরিক যে সমস্যার কারণেই কালিজিরা খান, তা সঠিক পরিমাণে হওয়া চাই। প্রতিদিন কতটুকু কালিজিরা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে তা চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন।গর্ভাবস্থায় ও দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালোজিরার তেল সেবন করা উচিত নয়। তবে বাহ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যাবে।
সংগৃহীত
Leave a Reply