গ্রিন টি যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি এটি পান করার ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। আজকের পোস্টে আমরা জানব, কোন কোন সময়, এই চা পান করবেন না।
গ্রিন টি নিয়ে নানারকম মিথ্যা প্রচিলত রয়েছে। ঠিক কোনও সময়ে গ্রিন টি খাওয়া উচিত, দিনে কত কাপ খাওয়া উচিত এই নিয়ে বিতর্কের কমতি নেই। কিন্তু, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যেহেতু গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর তাই দিনে নিয়মমত গ্রিন টি খাওয়া যেতেই পারে। তবে অতিরিক্ত খাওয়া কিন্তু উচিত নয়। কারণ অতিরিক্ত গ্রিন টি খেলে যে টক্সিন নির্গত হয় তা সরাসরি লিভারে গিয়ে জমা হয়। যেখান থেকে পরবর্তীতে লিভার ড্যামেজের মতো সমস্যা হতে পারে। গ্রিন টি খাওয়ার উপযুক্ত সময় দুপুরের খাওয়ার পর। অর্থাৎ বিকেল ৪টার দিকে গ্রিন টি খেতে পারেন। এছাড়াও গ্রিন টি-তে যেহেতু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তাই গ্রিন টি খেলে বেশি পরিমাণ জল খান।
জেনে নিন – “গ্রিন টি – সবুজ চায়ের উপকারিতা”
এই ১০ টি উপায়ে গ্রিন টি পান করবেন নাঃ
খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রিন টি খাওয়া যাবে না। অনেকে মনে করে থাকেন যে, খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রিন টি খেলে খাবারের অতিরিক্ত ক্যালরী গ্রিন টি শোষণ করে নেবে। কিন্তু আদতে খাবারে যে প্রোটিন থাকে, তা হজমের আগেই গ্রিন টি খেলে হজমপ্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
খুব গরম অবস্থায় গ্রিন টি খাবেন না। তাতে আপনার ঠোঁট, জিহ্বা বা পাকস্থলীর ক্ষতি হতে পারে। সেরা ফল পেতে আট থেকে দশ মিনিট অপেক্ষা করে গ্রিন টি খেতে পারেন।
গ্রিন টি যেহেতু ‘ডিটক্স’, তাই অনেকে মনে করেন, সকালে খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়া উচিত। কিন্তু একেবারে খালি পেটে খাওয়ার চেয়ে হালকা কিছু খেয়ে শরীরের মেটাবলিজম সিস্টেম চালু করে তারপর গ্রিন টি খেলে ভালো ফল পাওয়া যাবে, নতুবা অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।
অনেকেই গ্রিন টির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান। কেননা, চিনি অস্বাস্থ্যকর। ‘সাইলেন্ট হোয়াইট পয়জন’। তবে গরম অবস্থায় মধু মেশালে এর কার্যকারিতা অনেকটাই কমে যায়। তাই একান্তই মধু মেশালে পান করার আগে উষ্ণ গরম অবস্থায় গ্রিন টিতে মধু মেশাবেন।
গ্রিন টির সঙ্গে ওষুধ খাবেন না। কেননা, বিভিন্ন ওষুধের উপাদান গ্রিন টির সঙ্গে মিশে জটিল উপাদান তৈরি করে। তাতে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে এবং শরীরে সাইড ইফেক্ট তৈরীও হতে পারে।
গ্রিন টি স্বাস্থ্যকর। তাই বলে আপনি যত খুশি তত গ্রিন টি খেতে পারেন না। চা বা কফির মতো গ্রিন টিতেও ক্যাফেইন থাকে। আর অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণে অনিদ্রা, মাথাব্যথা, উদ্বেগ, আলসেমি – এগুলো চেপে বসতে পারে। আয়রন শোষণের পরিমাণও কমিয়ে দেয় ক্যাফেইন। দিনে দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি খেতে পারেন।
একটা গ্রিন টির কাপে দুটি টি-ব্যাগ মেশাবেন না। এতে অ্যাসিডিটির আশঙ্কা বাড়বে, হজমেও গোলযোগ হতে পারে।
সকালে উঠেই খালি পেটে, দুপুর ১২টায়, সন্ধ্যায় খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পর বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগে গ্রিন টি খাবেন না। সম্ভব হলে দুবার ভারী খাবারের মাঝখানে গ্রিন টি খাবেন।
গ্রিন টির সঙ্গে গুঁড়া দুধ, চিনি বা অন্য কোনো মসলা, লেবু কিছুই মেশাবেন না। এতে চায়ের গুনগত মান কমে যাবে এবং শরীরের সঠিক উপকার হবে না।
বাজারে বর্তমানে নানা ফ্লেভারের গ্রিন টি পাওয়া যায়। তবে ‘ন্যাচারাল ফ্লেভার’ গ্রিন টি খাওয়াই সবচেয়ে ভালো।
সংগ্রহীত
Leave a Reply